ভালোবাসার রোমান্টিক গল্প - সিনিয়র ম্যাম যখন ক্রাশ
রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প খুঁজে থাকলে এই পোস্টটি আপনারই জন্য। এই পোস্টে আমরা আপনাদের জন্য বিভিন্ন রোমান্টিক গল্পের আয়োজন করেছি। তো চলুন দেরি না করে গল্পগুলো পড়ে নেওয়া যাক।
গল্পের নামঃ সিনিয়র ম্যাম যখন ক্রাশ
গল্পের প্রধান চরিত্র গুলির নামঃ আহমান এবং নিশু
পর্বঃ ১
নিশুঃ এই ছেলে তোমার নাম আহমান না ?
আহমানঃ ……………….
নিশুঃ সমস্যা কি তোমার ? রিপ্লাই দাও না কেন ?
আহমানঃ সরি আপু আমি অচেনা মেয়ের মেসেজের রিপ্লাই দিই না
নিশুঃ কেন ?
আহমান ঃ কারন আমি এক নারীতে আসক্ত 🥰
নিশু ঃ কে সেই মেয়ে ?
আহমান ঃ সে যেই হোক, আপনাকে নাম বলা যাবে না। তবে আপনি কে ? আপনাকে তো চিনলাম না ।
নিশু ঃ আমি নিশু ,,
আহমান ঃ কোন নিশু ?
নিশু ঃ তুমি কত জন নিশু কে চেন ?
আহমান ঃ একজনকে চিনি শুধু
নিশু ঃ কে সে ?
আহমান ঃ আমার ম্যাম,
নিশু ঃ হুম, আমিই তোমার সেই ম্যাম নিশু।
আহমান ঃ সরি ম্যাম আপনাকে চিনতে পারি নাই 😫, এই আইডিটা তো আপনার না সেজন্য চিনতে পারি নাই😞
নিশু ঃ চেনার জন্য ধন্যবাদ 😒...... আচ্ছা, তুমি কোন সেমিস্টারে পড়ো বলোতো ?
আহমানঃ ম্যাম আমি ৩য় সেমিস্টারে পড়ি।
নিশু ঃ আমি কিসে পড়ি সেটা কি তুমি জানো ?
আহমান ঃ আপনার পড়াশোনা তো শেষ ম্যাম
নিশুঃ তাহলে আমি কি ? 🤷♀️
আহমান ঃ আপনি তো আমার শিক্ষিকা 😊
নিশুঃ কত সালে SSC পাস করেছো ?
আহমান ঃ ২০২২
নিশু ঃ আমি কত সালে SSC পাস করেছি ?, জানো ?
আহমান ঃ না তো 😞
নিশু ঃ তোমার বয়স কত ??
আহমান ঃ ১৯ বছর
নিশু ঃ আর আমার বয়স কত ?
আহমান ঃ ২৫বছর
নিশু ঃ তাহলে তোমার থেকে কত বছর এর সিনিয়র আমি ?
আহমান ঃ ৬ বছর, ম্যাম ।
নিশু ঃ তো এখন বল তো, আমার দিকে সারাক্ষণ হা করে তাকিয়ে থাক কেন ?
আহমান ঃ না মানে ............ ম্যাম.......................।
নিশু ঃ এখন চুপ করে আছ কেন ? উত্তর দাও ?
আহমান ঃ কি বলবো বুঝছি না ??
নিশু ঃ আজব ,,🙄 .. আমি তোমার ম্যাম, তোমার থেকে ৬ বছরের বড়ো, তাও সারাদিন আমার দিকে ড্যাপ ড্যাপ করে তাকিয়ে থাক কেন ? সারাদিন আমাকে ফলো করো, আমি যেই রুমে ক্লাস নিতে আসি, সেই রুমের সামনেই দাড়িয়ে থাকো। এই সব পাগলামির মানে কি ? 😡🤧
আহমান ঃ আসলে ম্যাম .............................................।
নিশু ঃ আমি যা জিজ্ঞেস করলাম তার উত্তর দাও
আহমান ঃ ................
নিশু ঃ এখন বলো আর কোনদিন আমার দিকে তাকিয়ে থাকবা ? 😡
আহমান ঃ জী ম্যাম, থাকবো 😊
নিশু ঃ এই তুমি তো দেখছি অনেক বড় বেয়াদব আর ফাজিল 😒 , নিজের ম্যাম কে এগুলা বলতে ভয় করে না ?
আহমান ঃ না ম্যাম ভয় করে না, তবে আপনি আমার আইডি পেলেন কয় ? কে আমার কথা আপনাকে বলেছে ?
নিশু ঃআমি অনেকদিন ধরেই দেখছি তুমি আমাকে ফলো করছো, আর আমার ফেসবুকের সব পোস্টের নিচে তোমার লাভ রিয়েক্ট আর কমেন্ট এ ভরে গেছে🤨, সেজন্য তোমার আইডি ম্যানেজ করা অনেক কঠিন কিছু না। তাছাড়া তোমার অনেক টিচার রাও খেয়াল করেছে যে তুমি সারাদিন আমার পিছনে ঘুর ঘুর কর।.
আহমান ঃ সব যখন জেনেই গেছেন, তখন যদি অভয় দিতেন,
তাহলে আমি আপনাকে কিছু বলতাম 👉👈😥
নিশু ঃ আচ্ছা বলো কি বলবা ।
আহমান ঃ যদি তুমি করে বলার অনুমতি দাও, তাহলে বলব 🙈
নিশু ঃ এই পোলা তোমার সাহস কত বড় 🤨
আহমান ঃ প্লিজ ম্যাম, ৫ মিনিট এর জন্য অনুমতি দেন 😩
নিশু ঃ আচ্ছা বলো 🙄
আহমান ঃ নিশু , আমি জানিনা তুমি আমার কথাগুলো কিভাবে নিবে, তবে আমার কথাগুলো শোনার পর যদি মনে করো যে আমি বেয়াদব। তোমার জন্য আমি সারা জীবন বেয়াদব থাকতে রাজি আছি।
নিশু ঃ তারপর ?
আহমান ঃ নিশু , আমি তোমাকে প্রথম দেখেছিলাম ২০২৩ এর ১২ই মার্চ এ, আমাদের ইনস্টিটিউটের নবীন বরণ অনুষ্ঠানে।
তুমি যখন আমার সামনে দিয়ে হেটে যাচ্ছিলে আমার বুকের ভেতরটা কেমন জানি করছিল, আমার বুকের হার্টবিট এতটাই বেড়ে গেছিল যে মনে হচ্ছিল কখন জানি ফেটে যাবে। ওই যে কথায় আছে না, প্রথম দেখায় ভালোবাসা, সেরকম কিছু একটা হয়েছিল আমার সাথে। তুমি যতক্ষণ পর্যন্ত অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করছিলে আমি ততক্ষণ তোমার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলাম। ঐদিন তোমার অনেকগুলা ছবিও তুলে রেখেছিলাম। রুমে যেয়ে সারারাত ওই ছবিগুলো দেখছিলাম কিন্তু তোমার মায়ায় পড়ে সারারাত আমি ঘুমাতে পারিনি।
একটা মেয়ে এত কিউট এবং মায়াবী কিভাবে হতে পারে। আমার মনে হচ্ছিল কেউ যেন আমার উপর জাদু করেছে। সবকিছু যেন স্বপ্নের মত লাগছিল, সবখানে শুধু তোমাকেই দেখছিলাম।
আমি প্রথমে ভেবেছিলাম তুমি কোনো সিনিয়র আপু হবে, তবে যখন জানলাম তুমি আমার টিচার, তখন অনেক কষ্ট পেয়েছিলাম, জীবনে প্রথম কাউকে এতটা ভাল লাগলো কিন্তু সেই হলো আমার টিচার। তারপর আরো জানতে পারলাম তুমি নাকি অনেক কঠোর এবং রাগী, সেজন্য যখনই সুযোগ পেতাম লুকিয়ে লুকিয়ে তোমাকে দেখতাম, তোমার পিছে পিছে ঘুরতাম, তুমি যেই রুমে ক্লাস নিতে তার সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতাম, তুমি যখন আমার রুমে ক্লাস নিতে তখন পুরো ক্লাসের সময়টাতে আমি শুধু তোমাকেই দেখতাম। সারাদিন দেখেও যেন আমার মন ভরতো না।
অনেক কষ্ট করে তোমার ফেসবুক আইডিটি জোগাড় করেছিলাম তোমার কতজন ফ্রেন্ড আছে এবং তোমার সকল তথ্য বের করার চেষ্টা করতাম।
নিশু ঃ এই ছেলে, এবার থামো। তোমার টাইম শেষ। 🙅
আহমান ঃ সরি ম্যাম 😣
নিশু ঃ ম্যাম বলতে হবে না 😉
আহমান- সত্যি ?? 😍😍
নিশু ঃ হুম সত্যি 😇 । তো আমার ব্যাপারে এত্ত কিছু জানো যখন, তাহলে আমার পছন্দের জিনিস এর নাম বলো ?
আহমানঃ 🌻🌼🌷ফুল, আপনার অনেক পছন্দ।
নিশু ঃ গুড,, কাল বিকাল ৩টার সময়, ফুল নিয়ে আম চত্তরে দাঁড়িয়ে থাকবা
আহমান ঃ Thank You ম্যাম
নিশু ঃ Thank You কেন ?
আহমান ঃ এমনিতেই ম্যাম😶
নিশু ঃ আবার ম্যাম 😡 ?
আহমান ঃ সরি ম্যাম
নিশু ঃ আবার 😡
আহমান ঃ সরি ম্যাম
নিশু ঃ এই জন্যই বাচ্চা ছেলের সাথে কথা বলতে হয় না
আহমান ঃ সরি নিশু , আর ভুল হবে না
নিশু ঃ ওমা 😯, এই ছেলের সাহস কত বড় দেখ, আমার নাম ধরে ডাকে 🤨🤨
আহমান ঃ আমাকে এই ছেলে, এই ছেলে না বলে, আমার সুন্দর নাম ধরেও তো ডাকতে পারেন😑 ,,
নিশু ঃ এই শোনো, দেখা করতে বলেছি বলে যেন অন্য কিছু ভেবে নিও না😒। আর ম্যাম বলতে নিষেধ করেছি বলে এর মানে এই না ই যে তুমি আমার মাথায় উঠবা , আরো বড় হও
আহমান ঃ সরি
নিশু ঃ আচ্ছা হয়ছে, কাল সময় মতো চলে আসবা ।
আহমান ঃ ওকে ,, মিস ইউ ম্যাম ,,
সরি নিশু 😣
নিশু ঃ ওহ আর একটা কথা, তোমার একটা বদ অভ্যাস আছে, আমি নিজেও দেখছি সেটা
আহমান ঃ কী দেখছেন ?
নিশুঃ সিগারেট খাও তুমি
আহমান ঃ আস্তাগফিরুল্লাহ , আমি কোনোদিনও সিগারেট খাই না। আপনি কী নিজের চোখে আমাকে সিগারেট খেতে দেখেছেন ?
নিশু ঃ না তা দেখি নাই ,, তবে যেখানে সবাই সিগারেট খেতে যায়, সেখানে তোমাকে যেতে দেখেছি। তোমার পাশের জন খাচ্ছিলো সেটাও দেখেছি
আহমান ঃ না ম্যাম আমি খাই না, আমার বন্ধু রা খায়। তবে এটা ভেবে খুশি লাগছে যে আপনিও আমাকে দেখতেন 🤗
নিশু ঃ হুম হয়ছে হয়ছে, কাল সময় মতো আসবা।
আহমান ঃ গুড নাইট 😊। কাল দেখা হবে 🥰।
লেখনীতে ঃ আহমান (RPI, 3rd Semester, CST Department)
(,,,,,, চলবে,,,,,,,)
লেখকের শেষ কথা
ভালোবাসা একটি অসাধারণ সুন্দর অনুভূতি যা মানুষের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশের মধ্যে একটি। এটি ব্যক্তিগত সম্পর্কের মধ্যে জড়িত হতে পারে বা পরিবার, বন্ধুবান্ধব, সমাজের সাথে সাপেক্ষ থাকতে পারে।
ভালোবাসা হলো প্রেম, সহানুভূতি, আদর, সম্মান ও দয়ার সমন্বয়ের একটি অমূল্য অভিজ্ঞতা। এটি দুঃখ, সংকট এবং অন্যান্য সময়ের জন্য একটি অবিচ্ছিন্ন আশ্রয়স্থল হিসাবে কাজ করতে পারে।
ভালোবাসা অনেক সময়ে কঠিন, কিন্তু তা জীবনের সবচেয়ে সুন্দর অংশের মধ্যে একটি হিসাবে প্রকাশ পায়। এটি সামান্য প্রতিকূলতা বা সমস্যার সাথে মুক্তি অনুভব করতে সাহায্য করে এবং জীবন কে আনন্দময় করতে সাহায্য করে।
সেজন্য, আপনার ভালোবাসার মানুষটি যদি আপনার পাশে থেকে থাকে, তাহলে তাকে সারাজিবন আকড়ে থাকুন। তাকে কখনোই দূরে যেতে দেবেন না। হয়তো এটা করতে যেয়ে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হবেন, তবে দিনশেষে আপনিই হবেন প্রকৃত সুখী।
আশা করব এই গল্পটি আপনাদের অনেক ভালো লেগেছে, যদি গল্পটি ভালো লেগে থাকে তাহলে অন্যদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারেন, যেন তারাও এই গল্পটা পড়তে পারে। এই পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url