ডুয়েট সম্পর্কিত সকল প্রশ্নের উত্তর - ডুয়েট ভর্তি যোগ্যতা
আপনি কি ডুয়েটে পড়তে চান কিন্তু ডুয়েট সম্পর্কে সঠিক ধারণা নেই না? অর্থাৎ ডুয়েট এর আসন সংখ্যা কত অথবা ডুয়েটে ভর্তি যোগ্যতা কত লাগে সেটি যদি না জেনে থাকেন তাহলে এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
ভুমিকা
ডিপ্লোমা পাস শিক্ষার্থীদের জন্য বিএসসি ডিগ্রী অর্জনের একমাত্র সরকারি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে ডুয়েট। তবে আমরা অনেকেই ডুয়েট সম্পর্কে জানি না অর্থাৎ ডুয়েট সম্পর্কে আমাদের পর্যাপ্ত জ্ঞান নেই। এর ফলে আমাদের প্রস্তুতি অনেকটা কম হয়ে যায়। সেই দিকে লক্ষ্য রেখে আজকের এই পোস্ট করা। এই পোস্টটির মাধ্যমে আমরা আপনাদের কে ডুয়েট সম্পর্কিত সকল তথ্য দিব এবং সেই সাথে এমন কিছু উপায় বলে দিব যেগুলো মেন খেলার মাধ্যমে আপনি আপনার ডুয়েট প্রিপারেশন আরো ভালো হবে নিতে পারবেন। তো চলুন ডুয়েট সম্পর্কিত সকল প্রশ্নের উত্তর জেনে নেওয়া যাক।আশাকরি এখান থেকে DUET সম্পর্কে মোটামুটি সবকিছুই জানা যাবে। তাই সবার জন্য পোস্ট টি করা।DUET যাদের স্বপ্ন তাদের জন্য বিশেষ করে।
ডুয়েট এর পূর্ণরূপ কি?
ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (Dhaka University of Engineering & Technology)
ডুয়েট কোথায় অবস্থিত
গাজীপুরে অবস্থিত।
ডুয়েট ভর্তি যোগ্যতা
শুধুমাত্র ডিপ্লোমা পাশকৃত শিক্ষার্থীরা এখানে আবেদন করতে পারবে। অন্যকেউ পারবে না।
ডুয়েটে কি কি সাবজেক্ট আছে
- সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং।
- ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং।
- মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং।
- কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং।
- টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং।
- আর্কিটেকচার ইঞ্জিনিয়ারিং।
- ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং।
- কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং।
- ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং।
- মেটেরিয়ালস অ্যান্ড মেটালার্জিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং।
ডুয়েট ভর্তি যোগ্যতা
ডিপ্লোমার কোন কোন টেকনোলজির শিক্ষার্থী কোন কোন ডিপার্টমেন্ট এ আবেদন করতে পারবে
- 🔰সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং
- সিভিল
- সার্ভেয়িং
- এনভায়রনমেন্টাল (নির্ধারিত ঐচ্ছিক বিষয়সমূহে পাশসহ)
- সিভিল (উড স্পেশালাইজেশন)
- কনস্ট্রাকশন
🔰ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং
- ইলেকট্রিক্যাল
- ইলেকট্রনিক্স
- ইনস্ট্রুমেনটেশন অ্যান্ড প্রসেস কন্ট্রোল
- টেলিকমিউনিকেশন
- ইলেকট্রো-মেডিকেল
🔰মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
- মেকানিক্যাল
- পাওয়ার
- রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনিং
- মেকাট্রনিক্স
- শিপ বিল্ডিং
- মেরিন
- মাইনিং অ্যান্ড মাইন সার্ভে
🔰কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং
- কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি
- কম্পিউটার
- ডাটা টেলিকমিউনিকেশন অ্যান্ড নেটওয়ার্কিং
- গ্রাফিক্স ডিজাইন
- প্রিন্টিং
🔰টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং
- টেক্সটাইল
- জুট
- গার্মেন্টস অ্যান্ড প্যাটার্ন মেকিং
🔰আর্কিটেকচার ইঞ্জিনিয়ারিং
- আর্কিটেকচার
- আর্কিটেকচার অ্যান্ড ইন্টেরিয়র ডিজাইন
🔰ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং
- মেকানিক্যাল
- ইনস্ট্রুমেনটেশন অ্যান্ড প্রসেস কন্ট্রোল
- অটোমোবাইল
- মেকাট্রনিক্স
🔰কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
- কেমিক্যাল
- এনভায়রনমেন্টাল
🔰ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং
- ফুড
🔰মেটেরিয়ালস অ্যান্ড মেটালার্জিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
পাওয়ার
- রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনিং
- অটোমোবাইল
- সিরামিক
- গ্লাস
- শীপ বিল্ডিং
- মেরিন
- মাইনিং অ্যান্ড মাইন সার্ভে
ডুয়েট এর আসন সংখ্যা কত?
১. সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং — ১২০ জন
২. ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং — ১২০ জন
৩. কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (CSE) — ১২০ জন
৪. মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং — ১২০ জন
৫. টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং — ৬০ জন
৬. আর্কিটেকচার ইঞ্জিনিয়ারিং — ৩০ জন
৭. ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং — ৩০ জন
৮. কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং — ২০ জন
৯. ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং — ২০ জন
১০.Department of Mechatronics Engineering — ৩০ জন
🔰বি.দ্র: উপজাতি এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান/নাতি-নাতনীদের জন্য ২/১ করে সিট সংরক্ষিত থাকে।
ডুয়েটে আবেদন করার জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা কি কি?
১. প্রার্থীকে বাংলাদেশের যেকোনো বোর্ড থেকে এসএসসি/দাখিল বা সমমানের পরীক্ষায় কমপক্ষে ৫০% নম্বর অথবা GPA ৫.০০ এর স্কেলে কমপক্ষে GPA ৩.০০ (ঐচ্ছিক বিষয়সহ) পেয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে।
২. প্রার্থীকে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং/আর্কিটেকচার এ গড়ে কমপক্ষে ৬০% নম্বর অথবা CGPA ৪.০০ এর স্কেলে কমপক্ষে CGPA ৩.০০ পেয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে।
ডুয়েটে সিলেবাস অনুযায়ী নম্বর বন্টন কিভাবে হয়?
🔺১ম পত্র
- রসায়ন - ৪০
- পদার্থ বিজ্ঞান - ৪০
- গণিত - ৪০
- ইংরেজি - ৩০
🔺২য় পত্র
- টেকনিক্যাল বিষয় - ১৫০
♻️সকল বিষয় এ মোট নম্বরের ২০%-২৫% MCQ থাকবে।
🔰বি.দ্র: নন-টেকনিক্যাল বিষয় (পদার্থ, রসায়ন, গণিত, ইংরেজি) এর সিলেবাস সবার জন্য একই।
কিন্তু টেকনিক্যাল বিষয় যার যার টেকনোলজি অনুযায়ী সিলেবাস হয়ে থাকে।
ডুয়েটে পরীক্ষা কিভাবে হয় আর সময় কতোটুকু?
- ১ম ও ২য় পত্রের পরীক্ষা একত্রে একটা অনুষ্ঠিত হবে।
- মোট সময় দেওয়া হয় ২ ঘন্টা
- প্রথম পত্রের জন্য ১ ঘন্টা
- দ্বিতীয় পত্রের জন্য ১ ঘন্টা
ডুয়েটে কিভাবে মেধাতালিকা তৈরি করা হয়?
১. ভর্তি পরীক্ষায় পাশ নম্বর সর্বনিম্ন শতকরা চল্লিশ (৪০%)। তবে,
💠প্রার্থীকে ১ম পত্রে ইংরেজী বিষয়ে ন্যূনতম শতকরা বিশ (২০%) নম্বর পাইতে হইবে।
💠প্রার্থীকে ১ম ও ২য় পত্রে পৃথক পৃথকভাবে ন্যূনতম শতকরা পঁয়ত্রিশ (৩৫%) নম্বর পাইতে হইবে।
💠ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাতালিকা অনুযায়ী শূণ্য আসন পূরণ করা হইবে।
২. একাধিক প্রার্থী ভর্তি পরীক্ষায় একই নম্বর পাইলে সেক্ষেত্রে ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম পত্রের প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে প্রার্থীদের মেধাস্থান নির্ধারণ করা হয়। প্রথম পত্রের প্রাপ্ত নম্বরও সমান হইলে গণিত, রসায়নে ও পদার্থ বিজ্ঞান এ প্রাপ্ত নম্বরের উপর ভিত্তিতে মেধাস্থান নির্ধারণ করা হয়।
আমাদের শেষ কথা
আমাদের এই পোস্টটি ছিল ডুয়েট সম্পর্কিত, আমরা ইতিমধ্যে আপনাদেরকে ডুয়েট সম্পর্কে নানাবি দেন এবং ডুয়েটের আসন বিন্যাস ডুয়েট এর আসন সংখ্যা ডুয়েট মেধা তালিকা তৈরি করার নিয়ম এবং ডেট সম্পর্কে আরো তথ্য দিয়েছি। আশাকরি পোস্টটি পাঠ করার মাধ্যমে আপনি আপনার কাঙ্খিত তথ্যটি পেয়ে গেছে। যদি আপনার মনে হয় এই প্রশ্নের উত্তর যে তথ্য দিয়েছে সেগুলো অন্যদেরও জানা উচিত তাহলে অবশ্যই এই পোস্টটি শেয়ার করে দিবেন যাতে বেশি সংখ্যক মানুষ ডুয়েট সম্পর্কে জানতে পারে। আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url