হস্ত মৈথুনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাচার উপায়

আজকের আমাদের এই পোষ্টের আলোচ্য বিষয় হলো হস্ত মৈথুন। আপনারা যারা হস্তমৈথনে আসক্ত হয়ে গিয়েছেন অথবা হস্ত মৈথুনের ক্ষতিকারক দিকগুলো জানেন না তাদের জন্য এই পোস্ট। এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা হস্তমৈথুন সম্পর্কে সব রকম তথ্য পেয়ে যাবেন।

                                           
                

অনেকে আছেন দিনে তিন থেকে চারবার হস্তমৈথুন করেন। তবে এরকম ভাবে যদি করতে থাকেন তাহলে আপনি খুব শীঘ্রই মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের ক্ষতির দিকে চলে যাবেন। তাই যদি অনেক ইচ্ছা হয় তাহলে দিনে একবার করতে পারেন। অর্থাৎ দিনে একবার।

হস্ত মৈথুন হলো একটি স্বাভাবিক আসক্তি যেটা সামাজিকভাবে মোকাবিলা করা যেতে পারে এর জন্যে কোনও প্রাকৃতিক চিকিৎসার প্রয়োজন হয়না। হস্ত মৈথুনের মাধ্যমে কিছু স্বাস্থ্যকর উপকারিতা থাকতে পারে, তবে স্বজ্ঞানে এবং সীমিত হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। যদি এটি অত্যাধিক সময় ধরে হয় বা যদি এটি একজন ব্যক্তির দৈহিক ও মানসিক স্বাস্থ্যকে ক্ষতি করতে শুরু করে, তবে এটি একটি সমস্যার চিহ্ন হতে পারে এবং অভিজ্ঞদের কাছে সাহায্যের জন্য যোগাযোগ করা উচিত।

যেকোনো ধরণের চিকিৎসা বা উপায়ের আগে, অবশ্যই সংবেদনশীলতা এবং সতর্কতা অবলম্বন করা গুরুত্বপূর্ণ। ব্যক্তিগত যত্ন নেওয়া এবং সহযোগিতা প্রদান করার মাধ্যমে এই সমস্যা হ্রাস করা যেতে পারে।এছাড়াও, একজন ব্যক্তি যদি হস্ত মৈথুনের ফলে কোনও সমস্যা অথবা স্বাস্থ্য সম্পর্কিত চিন্তা করে থাকেন, তাহলে তাদের চিকিৎসার জন্য একজন পেশাদার চিকিৎসকে দেখতে বলা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।

হস্ত মৈথুনের পর কোনও বিশেষ খাবার খেতে হয় এমন কোনও বৈধ বা চিকিৎসামূলক উপায় নেই। হস্ত মৈথুন একটি স্বাভাবিক এবং সুস্থ প্রক্রিয়া, এবং এটি কোনও ভালো বা খারাপ খাদ্যের দ্বারা প্রভাবিত হয়না।তবে আপনি চাইলে এগুলো মানতে পারেন

স্বাস্থ্য ও মানসিক সুস্থতার দিক দিয়ে হস্তমৈথুনের কিছু উপকারিতা হতে পারে । হস্তমৈথুনের সবসময়ই সীমিত এবং স্বজ্ঞানের মধ্যে হওয়া উচিত, অন্যথায় এটি আপনার সুস্থতা ও মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতির কারণ হতে পারে।

তবে, হস্তমৈথুন এর বিভিন্ন উপকারিতা থাকলেও এটি বেশি পরিমাণে না করাই ভালো। যদি আপনি এটা এটাই আসক্ত হয়ে যান তাহলে আমাদের উপদেশ হবে যত দ্রুত সম্ভব এটা থেকে বেরিয়ে আসুন। কারণ এটা যদি আপনি একবার আসক্ত হয়ে পড়েন তাহলে আপনার শরীরের বিভিন্ন ক্ষতি করবে এবং আপনার সংসারিক জীবনে অনেক ঝামেলার সৃষ্টি হবে।

ডাক্তার জাকির নায়েক এর মতে

যদি হস্তমৈথুনের কথা বলতে হয়, ইসলামে এ ব্যাপারে সরাসরি কোন আয়াত বা দলিল নেই। বিভিন্ন আলেমের মত রয়েছে। এ নিয়ে কুরআন হাদিসে নিশ্চিতভাবে সরাসরি কিছু বলা নেই। আলেমদের বিভিন্ন মত রয়েছে। এ ব্যাপারে সরাসরি কোন আয়াত উল্লেখ নেই। হস্তমৈথুনের ব্যাপারে দুটি গ্রুপ রয়েছে। বেশিরভাগ স্কলারের মতে এটা পাপ। কিছু স্কলারের মতে, যদি এটা যৌন অপরাধ থেকে দূরে রাখে সে ক্ষেত্রে এটা হালাল। এ ক্ষেত্রে মত পার্থক্য রয়েছে।

জাকির নায়েকের বক্তব্যের লিংক

গবেষণা থেকে দেখা গেছে যে স্বাভাবিক ভাবে হস্ত মৈথুনের কোন ক্ষতিকর দিক নেই বললেই চলে। বরং এর মধ্য দিয়ে মানুষ মানসিক সুখ লাভের পাশাপাশি উৎফুল্ল মনের অধিকারী হতে পারে। তবে অধিক মাত্রায় হস্তমৈথুন মানবদেহে নানা ধরনের ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। অধিক মাত্রায় হস্তমৈথুনের ফলে দেখা দিতে পারেঃ

গবেষণায় দেখা গেছে যে অতিরিক্ত হস্তমৈথুনে বীর্যে শুক্রানুর সংখ্যা কমে যায়। জেনে রাখা ভালো যে সন্তান জন্মদানের জন্য বীর্যে শুক্রাণু দরকার হয় ২০ কোটি।শুক্রাণুর সংখ্যা কমে যাওয়ায় মেল ইনফারটিলিটি দেখা দেয়।

প্রথমত পর্ন, মাস্টারবেশন থেকে পুরোপুরি সরে আসতে হবে, এগুলা করতে থাকলে শারীরিক ক্ষতি রিকভার করা সম্ভব না।-প্রচুর পানি, সবুজ শাকসবজি ফলমূল, দুধ, কলা, বাদাম, খেজুর কিশমিশ, আঙ্গুর খেতে হবে। কালোজিরা খেতে হবে। (খাওয়ার নিয়মঃ ভর্তা করে ভাত দিয়ে খেতে পারেন। আবার কালিজিরা এর তেল টাও মধু দিয়ে খেতে পারেন। 

সকালে খালি পেটে এক চা চামচ মধু+এক চা চামচ তেল/ এক চা চামচ মধু+এক চিমটি কালোজিরা)- আমিষ জাতীয় খাবার(যেমনঃমাছ,মাংস,ডিম,ডাল,দুধ ইত্যাদি) একটু বেশি খাবেন। পাশাপাশি ব্যায়াম করতে হবে। সকল ধরণের ভাজাভুজি,ফাস্টফুড ত্যাগ করবেন।-কোন খাবারগুলো বেশি বেশি খাবেন আর কোনগুলো এভয়েড করবেন তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা আছে এই লেখায়- 'নীল কৃষ্ণগহ্বর' -ব্যায়াম করতে হবে.

আমরা এতক্ষণ উপযুক্ত পোষ্ট থেকে যা জানলাম সেটা থেকে আমরা এটাও বুঝতে পেরেছি যে হস্তমৈথুন অতিরিক্ত পরিমাণে করলে সেটা আমাদের শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি করে থাকে। তাই আমরা যদি কেউ হস্তমৈথনে আসক্ত হয়ে যায় তাহলে আমাদের উচিত যত দ্রুত সম্ভব এই পথ থেকে ফিরে আসতে। কারণ এর ফলে আমরা নানা রকম সমস্যায় পড়তে পারি এবং আমাদের সাংসারিক জীবনেও বিপন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। আশা করি পোস্টটি পড়ার পর আপনি আপনার জীবনে কিছুটা পরিবর্তন করবেন। আমাদের এই পোস্টটি ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই শেয়ার করে দিবেন যাতে অন্যরাও এই তথ্য পেতে পারে। আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।