South কোরিয়া যেতে কত টাকা লাগে জেনে নিন

আপনি কি সরকারিভাবে দক্ষিণ কুয়াতে যেতে চাচ্ছেন? তবে কিভাবে যাবেন এবং কোথায় কোথায় যোগাযোগ করবেন সেটা সম্পর্কে কোন ধারণা নেই. যদি সকল প্রশ্নের উত্তর জানতে চান তাহলে অবশ্যই এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন আশা করি আপনি দক্ষিণ কোরিয়াতে যাওয়ার উপায় গুলি জেনে যাবেন.

                                                                       

আমাদের দেশ থেকে প্রত্যেক বছর ভুল সংখ্যক মানুষ পড়াশুনা এবং কাজের উদ্দেশ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেয়ে থাকে. সেই সব দেশগুলোর মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া অন্যতম একটি দেশ. এই দেশে কাজের সুযোগ অনেক এবং এখানকার বেদনা অনেক তাই এ দেশের প্রতি বছর ভুল সংখ্যক মানুষ প্রবাসী হিসেবে যায়. তবে অনেকেই এ সকল দেশে অর্থাৎ দক্ষিণ কোরিয়াতে বেআইনিভাবে অথবা অবলম্বন করে দক্ষিণ কোরিয়াতে প্রবেশ করে. আমরা এমন কিছু তথ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করব যেগুলো জানা থাকলে আপনি দক্ষিণ কোরিয়াতে যেতে পারবেন.তা আপনি যদি দক্ষিণ কোরিয়াতে সরকারিভাবে এবং আইন মোতাবেক জানতে চান তাহলে এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন.

বাংলাদেশ থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রবেশের পূর্বে সকল যাত্রী (বিদেশি নাগরিকসহ) বোয়েসেল-এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে কোভিড টেস্টসহ বাধ্যতামূলক ০৭ (সাত) দিনের সঙ্গনিরোধ সম্পন্ন করে বোয়েসেল থেকে সনদ প্রদান করা হচ্ছে। এরপরও কিছু যাত্রী এ নিয়মকে তোয়াক্কা না করেই দক্ষিণ কোরিয়ায় গমনের পর দক্ষিণ কোরিয়া সরকার কর্তৃক কোভিড পজিটিভ শনাক্ত হচ্ছে। ফলে বাংলাদেশি নাগরিকদের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার অনিশ্চিতসহ দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের নিকট বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয় এবং কোরিয়ার মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সম্ভাবনাময় শ্রমবাজার সম্প্রসারণ হুমকির সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। 

বাংলাদেশ থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রবেশের পূর্বে যে সকল যাত্রী বোয়েসেল কর্তৃক সঙ্গনিরোধ সম্পন্ন করে সনদ গ্রহণ করেছে কেবল তাদেরকে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রবেশের অনুমতি প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে বোয়েসেল থেকে পত্র দেওয়া হয়েছে।

রাষ্ট্রীয় স্বার্থে দক্ষিণ কোরিয়ার মত গুরুত্বপূর্ণ শ্রমবাজার সম্প্রসারণ এবং টেকসই করার নিমিত্ত সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক সহযোগিতা আবশ্যক।

বর্তমানে কেউ যদি সরকারি ব্যবস্থায় সাউথ কোরিয়াতে যেতে চায়, তাহলে সে দুইটি উপায়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় যেতে পারবে। উপায় দুটি হচ্ছেঃ

প্রথমেই মনে রাখবেন এই দুইটি উপায়ে আপনি যদি দক্ষিণ করে যেতে চান তাহলে আপনার প্রচুর ধৈর্যের পরীক্ষা দেওয়া লাগবে। কারণ এই দুইটি উপায়ের মাধ্যমে আপনি যদি দক্ষিণ করে যেতে চান তাহলে আপনাকে অনেকগুলো ধাপ পূরণ করতে হবে এবং সেই ধাপগুলো হবে অনেক সময় সাপেক্ষ। তাই আপনার যদি সরকারি ভাবে যাওয়ার ইচ্ছা থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই সঠিক সময় এবং মনোবল নিয়ে এই পদক্ষেপগুলি অবলম্বন করবেন

বর্তমান বাংলাদেশ থেকে দক্ষিণ কোরিয়া যেতে সরকারিভাবে বেশি খরচ হয় না। মাত্র আড়াই লক্ষ টাকা খরচ হবে দক্ষিণ করে যেতে। তবে আপনাকে এক লক্ষ টাকা জামানত রাখতে হবে আর আপনি যদি দক্ষিণ কোরিয়া থেকে নির্দিষ্ট সময় এবং নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম পালন করে আবার দেশে ফিরে আসেন তাহলে উক্ত ১ লক্ষ টাকা আপনি ফেরত পাবেন।

বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় যেতে ১৮ থেকে ২৪ ঘণ্টার মতো সময় লাগে।কাতার এয়ার ওয়েজ, ইতিহাদ এয়ারওয়েজ এবং ফিল্ম এর প্রতিনিয়ত বাংলাদেশ থেকে দক্ষিণ করে যাতায়াত করে থাকে ।

দক্ষিণ কোরিয়ার এক টাকা বাংলাদেশের 0.084 টাকা। অর্থাৎ দক্ষিণ কোরিয়ার টাকার তুলনায় বাংলাদেশের টাকার মান অনেক কম। তাই যদি কখনো বাংলাদেশ থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় টাকা নিয়ে যান, তাহলে অবশ্যই টাকার মান দেখে তারপরে যাবেন নয়তো দক্ষিণ কোরিয়ায় দেশে গিয়ে অনেকবার বিপদে পড়ে যেতে পারেন।

বাংলাদেশ থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় যেতে ন্যূনতম বয়স ১৮ হওয়া দরকার ।আপনার বয়স যদি ১৮ বছর এর নিচে হয় তাহলে আপনি কখনোই দক্ষিণ কোরিয়ায় যাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন না।

কোন ছাত্র চাইলে দক্ষিণ কোরিয়ায় পার্টটাইম কাজ করে মাসে 8,000 থেকে 12,000 win/h এর মতো আয় করতে পারে। আর সে যদি চায় তার পড়াশোনার পাশাপাশি তার পরিবারের খরচ চালাতে পারবে এই পার্ট টাইম কাজ করার মাধ্যমে।

বাংলাদেশ থেকে সাউথ কোরিয়ার দূরত্ব হচ্ছে ৩৮২৭ কিলোমিটার। আর বাংলাদেশ থেকে সাউথ কোরিয়ায় প্লেনে যাতায়াতের সময় লাগে ১৮ থেকে ২৪ ঘন্টা।

আজকের আমাদের পোষ্টের আলোচ্য বিষয় ছিল সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়াতে যাওয়ার উপায় এবং দক্ষিন কোরিয়া নিয়ে বেশ কিছু তথ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করা। আমরা ইতিমধ্যেই আপনাদেরকে জানিয়েছি আপনি কিভাবে সরকারি ভাবে দক্ষিণ করে যেতে পারবেন এবং এমন কিছু তথ্য জানিয়েছে যেগুলো আপনার দক্ষিণ কোরিয়া সম্পর্কে জানা দরকার।আজকের এই পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে। আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।