কবুতরের রানীক্ষেত রোগের ঔষধ - কবুতরের রোগ ও চিকিৎসা
আজকের আলোচ্য বিষয় হল কবুতরের রোগ ও চিকিৎসা নিয়ে। আমরা অনেকে শখের বসে কবুতর পুষে থাকে তবে এর কোন রোগ হলে সেটা চিকিৎসা কি সে সম্পর্কে সঠিক ধারণা আমাদের থাকে না। তাই আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করব কবুতরের সকল রোগ ও সেই সকল রোগের চিকিৎসা নিয়ে। যদি আপনি এগুলো জানতে চান তাহলে পুরো পোস্ট টি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
ভূমিকা
কবুতর এক ধরনের সৌখিন পোষা প্রাণী যা আমরা অনেকেই শখের বসে এবং অনেকে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে অথবা কোন ধরনের ইভেন্টে অংশগ্রহণ করার জন্য লালন পালন করে থাকি। তাছাড়া কবুতরের মাংসও আমাদের মধ্যে অনেক জনপ্রিয়।
তাছাড়া এই কবুতরের মাংস খেলেও একটু কমে। কিন্তু সমস্যাটা তখন হয় যখন এই কবুতরগুলো কোন ধরনের রোগে আক্রান্ত হয়, আর সেই সকল রোগের ঔষধ বা চিকিৎসা আমাদের জানা থাকে না। তাই আজকে আমারে সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা আপনাদেরকে জানাবো কবুতরের কোন সময় কোন রোগ হয় এবং কবুতরের রোগের চিকিৎসা কি। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক কবুতরের রোগ ও চিকিৎসা।
কবুতরের রোগ ও ঔষধের নাম pdf
এমন কিছু বই রয়েছে যেগুলোতে শুধুমাত্র কবুতর সম্পর্কে লেখা আছে। আপনি যদি এ সকল বই ফলো করে আপনার কবুতর লালন পালন করেন তাহলে আশা করা যায় আপনি তাদের ভালো খেয়াল রাখতে পারবেন। কবুতর সম্পর্কে অনেকগুলো বই রয়েছে তবে আমরা আপনাকে একটি বইয়ের লিংক এখানে দিচ্ছি। আপনি চাইলে এই বইটি পড়ে আপনার কবুতরের দেখাশোনা ও লালন করতে পারবেন। নিচে বইটির ডাউনলোড লিংক দেওয়া হোলোঃ
ডাউনলোড করুন বইটি......
কবুতরের ঝিমানো রোগের ঔষধ
প্রথমত, আপনি রোগাক্রান্ত কবুতরটি আলাদা করে ফেলুন, তারপর আক্রান্ত কবুতরটিকে পরপর তিন দিন ৩ বার করে সকাল, দুপুর, রাতে ট্যাবলেট কট্রাভেট অথবা রেনামাইসিন চার ভাগের এক ভাগ খাওয়ান, ইনশাআল্লাহ ঠিক হয়ে যাবে।
কবুতরের ভিটামিন ঔষধের নাম
সেভাবে বলতে গেলে কবুতরের জন্য অনেকগুলা ভিটামিন রয়েছে। তবে আমরা আপনাদেরকে সেরা কিছু ভিটামিনের নাম এখানে জানাচ্ছি যেগুলো আপনার কবুতরকে খাওয়ালে আপনার কবুতর সুস্থ থাকবে এবং কবুতরের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক কবুতরের ভিটামিন ঔষধের নামঃ
- Wormazole / কৃমির ঔষুধ
- Rena-WS / মাল্টি ভিটামিন
- Respiron / ঠান্ডা ও শ্বাসযন্ত্রের প্রতিশোধক
- Revital-7 / ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স
- Rhodivit WS / মাল্টি ভিটামিন
- Riboson / পক্স ও অন্যান্য ক্ষত নিরাময়ে ব্যবহৃত
- Avinex / কৃমির ঔষুধ
- Calplex / ক্যালসিয়াম
- Rena K / ভিটামিন কে
- Timsen / এন্টিজার্ম স্প্রে
- Vitamin C / ভিটামিন সি
- Electromin / স্যালাইন
- Enrocin / এন্টিবায়োটিক
- Esb3 30% / এন্টিবায়োটিক
- Liva Tone / লিভার টনিক
- Liva-Vit / লিভার টনিক
- hemonid / এন্টিবায়োটিক
- Cipryl-solution / এন্টিবায়োটিক
- Cod Liver Oil / ভিটামিন এ, ডি ও ই
- Cosumix Plus / এন্টিবায়োটিক
- Doxy-Oxy / এন্টিবায়োটিক
- New-Floxin Liq / এন্টিবায়োটিক
কবুতরের রোগ ও চিকিৎসা
কবুতরের রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার ব্যবস্থা কবুতর পালনের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। যদি আপনি একজন কবুতর উদ্যোক্তা হয়ে থাকেন এবং কবুতরের ব্যবসা করে থাকেন কিন্তু আপনার কবুতর সম্পর্কে কোন ধারণা নেই অথবা কবুতরের চিকিৎসা সম্পর্কে কোন ধারণা নেই তাহলে আপনার বড় কোন ধরনের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। কারণ কবুতর পালনের আগে অবশ্যই আপনাকে কবুতরের রোগ ও সেই রোগের চিকিৎসা সম্পর্কে সঠিক ধারণা নিতে হবে। আপনি চাইলে আমাদের এই পোস্ট থেকে সেই ধারণাগুলো নিতে পারেন।
সাধারণত কবুতর বা পায়রা এর রোগ হয় না তবে কিছু কিছু রোগ আছে যেমন কলেরা, রক্ত আমাশয়, বসন্ত নিমোনিয়া, রানীক্ষেত ইত্যাদি সংক্রামক জাতীয় রোগ দেখা যায়। তাছাড়া বিভিন্ন প্রকার পরজীবী যেমন উকুন, আঠালি, কৃমি ইত্যাদি কবুতর আক্রমণ করতে পারে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া জাতীয় সংক্রামক ও কবুতরকে মারাত্মক ভোগান্তিতে ফেলতে পারে। তারপর আবার ভিটামিন ও মিনারেলের অভাবের কারণেও কবুতরের বদ হজম এর মত সমস্যা হতে পারে। এখানে কিছু কবুতরের রোগের নাম উল্লেখ করা হলো এবং সেগুলোর চিকিৎসার কথা তুলে ধরা হলোঃ
- রানীক্ষেত বা ঝিমানো রোগ
- রক্ত আমাশয় বা রক্ত পায়খানা
- কবুতরের ক্যাংকার রোগের
- কবুতরের ঠান্ডা জনিত রোগ
- কবুতরের ক্যাংকার রোগের
- বসন্ত বা পক্স রোগ
- কলেরা
- এসপারজিলোসিস
- সালমোনেলোসিস
- ইনক্লুশন বডি হেপাটাইটিস
কবুতরের রোগ নির্ণয়
কবুতরের রানীক্ষেত রোগের ঔষধ
কবুতরের অনেকগুলো রোগের মধ্যে একটি রোগ হচ্ছে রানীক্ষেত। তবে এই রোগের কিছু প্রচলিত নাম রয়েছে যেমন কবুতরের ঝিমানোর রোগ, ঝিমুনি রোগ, কবুতরের চুন পায়খানা রোগ ইত্যাদি। যদি এই রোগ গুলো অর্থাৎ এই রোগটি কোন কবুতরের হয় তাহলে তার মৃত্যুর শতকরা হার ৭০ ভাগ। সাদা ডায়রিয়া অথবা প্যারালাইসিস এই রোগের একটি প্রাথমিক লক্ষণ। এ রোগের আরো কিছু লক্ষণ রয়েছে সেগুলো হলো:
কবুতরের রানীক্ষেত রোগের লক্ষণ
- চুনের মত সাদা পাতলা পায়খানা করবে।
- দ্রুত ওজন কমে যাবে।
- প্রাথমিক অবস্থায় কবুতরের তীব্র জ্বর হবে।
- কবিতর ঝিমাতে থাকবে।
- খাওয়াদাওয়া ছেড়ে দেবে।
- কয়েক দিন পর মারা যাবে।
আপনি আপনার কবুতরের এ ধরনের লক্ষণ গুলো খেয়াল করেন তাহলে আপনার উচিত আপনার কবুতরকে কিছু ঔষধ সেবন করানো এবং সেগুলো ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী হতে হবে। তবে আমি এখানে কিছু ওষুধের নাম উল্লেখ করছি যেগুলো এই রোগের জন্য কার্যকরী।
- ভিটামিন সি
- প্যারাসিটামল
- সিপ্রোসল ভেট (সিপ্রোফ্লক্সাসি),
- ওরাল স্যালাইনরেনামাইসিন (অক্সিটেট্রাসাইক্লিন),
- এজিথ্রোমাইসি
কবুতরের পক্স এর ওষুধ
এই রোগের তেমন কোন ঔষধ নাই তবে আপনি যদি ঘরোয়া একটি ঔষধ বানিয়ে কবুতরকে খাওয়াতে পারেন তাহলে সেটি আপনার কবুতরের পক্সের ওষুধ হিসেবে কাজ করতে পারে। ওষুধটি বানানোর নিয়ম হলোঃ নারকেল তেল, নিম পাতা বাটা, কর্পূর , কাঁচা হলুদ বাটা ও হাইপো একসাথে মিক্স করে সেগুলির পেস্ট বানিয়ে কবুতরকে খাওয়ালে এই রোগের প্রতিকার পাওয়া সম্ভব।
কবুতরের রুচির ঔষধ
All eNzyme / এই ওষুধটি খেলে হজম শক্তি বাড়াবে এবং খাবারে রুচি আনবে।
কবুতরের ঝিমানো ও চুনা পায়খানা
আপনার উচিত আপনার কবুতরকে কিছু ঔষধ সেবন করানো এবং সেগুলো ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী হতে হবে। তবে আমি এখানে কিছু ওষুধের নাম উল্লেখ করছি যেগুলো এই রোগের জন্য কার্যকরী।
- ভিটামিন সি
- প্যারাসিটামল
- সিপ্রোসল ভেট (সিপ্রোফ্লক্সাসি),
- ওরাল স্যালাইনরেনামাইসিন (অক্সিটেট্রাসাইক্লিন),
- এজিথ্রোমাইসি
কবুতরের মধ্যে পিএমভি কতদিন সংক্রামক হয়
যে কবুতররা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে পারে তারা কিছু সপ্তাহের জন্য ভাইরাসটি চারিদিকে ছড়িয়ে দিতে পারে, এক রিসার্চে দেখা গেছে যে প্রথম পর্যায়ের সংক্রমণের পরে 6 মাসেরও বেশি সময় ধরে ফেরাল কবুতর (কলাম্বা লিভিয়া ডমেস্টিয়া) দ্বারা সংক্রামক মল ত্যাগ করা হয়েছিল।
লেখকের শেষ কথা
প্রিয় বন্ধুগণ আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করলাম কবুতরের বিভিন্ন অসুখ এবং সেই অসুখের চিকিৎসা কি। আশা করি আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত তথ্যগুলো এখান থেকে পেয়ে গিয়েছেন। যদি এই পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করে দিবেন অথবা যদি কোন মন্তব্য করতে চান নিচে থাকে ইমেইলের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারবেন। আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করার জন্য ধন্যবাদ ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url