ঘরোয়া উপায়ে গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা দূর করার উপায়
প্রিয় পাঠকগন আজকের আমাদের আলোচ্য বিষয় হলো কিভাবে আপনি ঘরোয়া উপায়ে নিজের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। যদি আপনি না জেনে থাকেন কিভাবে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার সমাধান করতে হয় তাহলে এই পোস্টটি পুরো পড়বেন, তাহলে আপনি জানতে এবং বুঝতে পারবেন কিভাবে আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার সমাধান করবেন।
ভূমিকা
আপনার কি মনে হয় পেট ফাঁপা লাগে মুখে একটু টক টক লাগে বমি আসে, তা ছাড়া নিয়মিত গ্যাসের ওষুধ না খেলে আপনার গ্যাস কমে না। আপনি যদি সকল চিন্তা নিয়ে ভাবছেন যে গ্যাসের সমস্যার সমাধান কিভাবে করবেন এবং কোন উপায় না খুঁজে পান তাহলে তা আজকে আমরা খুব সহজ ভাবে আপনাদের বুঝিয়ে দিব যে আপনি কিভাবে ঘরোয়া উপায়ে এগুলোর সমাধান করবেন। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক।
1.বিছানার মাথাটা উঁচু করে দেওয়া
সমাধানটা শোনার পর অনেকে যেটা করেন, সেটা হলো একটা জায়গায় দুইটা বালিশ নিয়ে মাথাটা উঁচু করেন।এটা তে গ্যাসের সমস্যার সমাধান হয় না বরং আরো বেড়ে যায়। অনেকের ক্ষেত্রে কেন বেড়ে যায় সেটা বুঝিয়ে বলি, বালিশ থেকে মাথা উঁচু করে শরীরটা সমানভাবে উঁচু হয় না মাথার দিকটা হঠাৎ করে উঁচু হয়ে যায় ফলে পেটের চাপ পড়ে বেশি ,তখন দেখা যায় যে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা টা বেড়ে যাচ্ছে.
একটা খুব মজার সমাধান আছে করতে পারেন, সেটা হচ্ছে খাটের যে দিকটাতে আপনি মাথা দেন সেই পায়ের নিচে একটু কাঠ দিয়ে বাইট দিয়ে অথবা হাতের কাছে খুঁজে পাওয়া যায় সেটা দিয়ে মাথা নিচু করে দেখেন আপনার গ্যাসের সমস্যার অনেকটা আরাম পেতে পারেন।
2.কিছু খাবার এড়িয়ে চলা
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হলে একসাথে অনেকগুলো খাবার পুরোপুরি নিষেধ, জিনিসটা কিন্তু আসলে এমন না। এক এক জনের এক এক খাবার এ একেকটা সমস্যা হয়। আমার নিজের কথায় যদি বলি আমার শসা খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বেড়ে যায়। আমরা তো শুনে থাকি যে আচ্ছা আচ্ছা কফি ভাজাপোড়া ঝাল মসলা একেবারে বন্ধ করে নিতে হবে, ওই পরামর্শটা তে কিন্তু আপনার খুব একটা লাভ হবে না। যেমন আমার চা কফি খেলে কোন সমস্যা হয় না, তাই আমি সেটা খাই।
আপনারও যেটাতে আপনার সমস্যা সেটা একটু খুঁজে বের করারচেষ্টা করবেন তারপরে সেটা বন্ধ করবেন। বাকিগুলো খেতে কোন সমস্যা নেই। যেমন মনে করেন যে চা-কফি যদি আপনি খেতে চান, আর আপনার যদি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা না হয় তাহলে সেটা চালিয়ে যেতে পারেন। তবে এ ধরনের খাবার একটু কম খাওা ভাল।
3.ঘুম ও খাওয়ার মাঝে বিরতি
৩ নম্বর উপদেশ হলো, খাওয়া শেষ করে একদম সাথে সাথে ঘুমাতে চলে যাবেন না, খাওয়া আর ঘুমের মাঝখানে অন্তত তিন থেকে চার ঘণ্টা সময় দিবেন। অনেকে মনে করেন যে আমি তো সাড়ে আটটার মধ্যে খাওয়া শেষ করেছি অনেক আগে খাওয়া শেষ করেছে কিন্তু তারপরও যদি আপনি নয়টা - দশটার মধ্যে ঘুমিয়ে যান, তাহলে কিন্তু গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। তাই চেষ্টা করবেন আপনার ঘুমানোর তিন থেকে চার ঘণ্টা আগে রাতের খাওয়া শেষ করে ফেলতে।
4.খাওয়ার পরিমাণ
আমাদের অনেকের একটা টেন্ডেন্সি থাকে যে আমরা একেবারে অনেক বেশি খেয়ে ফেলি, এটা কিন্তু করা যাবে না। এটা করলে কি হবে,খাবার পরে পেটে চাপ পড়বে তাই অল্প অল্প করে খাবেন, প্রয়োজনে বারবার খাবেন। কিন্তু অল্প অল্প করে একেবারে বেশি খেয়ে ফেলবেন না।
5.অতিরিক্ত ওজন
শেষ পরামর্শটা হচ্ছে ওজন নিয়ে।ওজন যদি বেশি হয় তাহলে গ্যাসের সমস্যা বেশি হতে পারে অনেকগুলো কারণেই তো আমাদের ওজন কমানো প্রয়োজন, তাই আপনার যদি মনে হয় ওজন এর ফলে গ্যাসের অনেক সমস্যা হচ্ছে, আর যদি দেখেন আসলে ওজনটা বেশি তাহলে একটু সিওসি চেষ্টা করে ওজন কমিয়ে ফেলার চেষ্টা করবেন। এখানে আপনি আরেকটি বিষয় খেয়াল করতে পারেন,যে আপনি অনেক মানসিক চাপের মধ্যে আছেন কিনা এবং সেটা কিভাবে কমাতে পারেন তাহলে হয়তো গ্যাসের সমস্যা থেকে পরিত্রান পাবেন.
আমাদের শেষ কথা
আজকের এই পোস্ট এর মুল বিষয় ছিল, ঘরোয়া উপায়ে নিজের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার সমাধান করতে পারবেন।আশা করি এই পোস্ট এর দারা আপনি শেয় বিশয় গুলা সম্পরকে জানতে পেরেছেন।আমাদের ওয়েবসাইট টি ভিজিট করার জন্নে ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url