টাইম ট্রাভেল করা কি সম্ভব জানুন এ বিষয়ে কোরআন কি বলে
টাইম ট্রাভেল করা কি সম্ভব, মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম কি তার জীবনে টাইমটেবিল করেছিলেন, এ ব্যাপারে আল কোরআন কি বলে,এ সকল প্রশ্নের উত্তর দেবো আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে।
ভূমিকা
সুপ্রিয় দর্শক মন্ডলী আসসালামুয়ালাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ।আজকে আমরা আলোচনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। আর তা হল টাইম টেবিল করা কি সম্ভব মহানবী সাল্লাল্লাহু ইসলামকে তার জীবনে টাইম ট্রাভেল করেছিলেন এ ব্যাপারে আল কোরআন কি বলে। শুরু করা যাক।টাইম ট্রাভেল কি
টাইম ট্রাভেল বলতে অতীতে বা ভবিষ্যতে যেতে পারাকে বোঝায়। যদি, কেউ ২০০০ সালে ফিরে যেতে পারে বা ২০৩০ সালে চলে যেতে পারে, তবে আমরা এটিকেই টাইম ট্রাভেল বলব। শুনতে যতটা সহজ্ব।মনে হচ্ছে, বাস্তবে কিন্তু ততটা সহজ হয় না। তবে অসম্ভব কিছুও না।টাইম মেশিন কি সত্যি আছে
বিজ্ঞানী আইনস্টাইন প্রমাণ করেছেন, আলোর চেয়ে দ্রুত গতিতে কোনো কিছু চলতে পারে না। তাই টাইম মেশিন কেবল বিজ্ঞান-কল্পকাহিনীতেই সম্ভব। আলোর গতি সেকেন্ডে প্রায় ১ লাখ ৮৬ হাজার মাইল। আর এখন মানুষ রকেটে সেকেন্ডে ৭ মাইলের মতো গতিতে চলতে পারে।
টাইম ট্রাভেল করা কি সম্ভব কোরআন কি বলে
আধুনিক বিজ্ঞানের সবচেয়ে আলোচিত এবং লোভনীয় তৈরি হচ্ছে টাইম ট্রাভেলিং এবং টাইম মেশিন। আমরা সকলেই জানি আমরা সকলেই তিনটি মাত্র সম্পর্কে অবগত। দৈর্ঘ্য প্রস্থ এবং উচ্চতা এর তিনটি মাত্র বরাবর স্থান পরিবর্তন সম্ভব এবং আমরা তার প্রমাণ করতে পারি তবে ন্যূনতম চতুর্মাত্রিক একটি ধারণা হচ্ছে।. এখনো পর্যন্ত এই চতুর্থ মাত্রা দিয়ে কোনো স্থান পরিবর্তন সম্ভব হয়নি।
এক সময় থেকে আরেক সময় পরিভ্রমণ কেউ আমরা সময় প্রমাণ বলে থাকি এটি হতে পারে অতীতে ভ্রমণ করতে পারে ভবিষ্যতে ভ্রমন প্রিয় দর্শক আমি আপনাদেরকে এটা আরেকটু সহজ এবং সুন্দর ভাবে বোঝাতে পারি যে ধরুন আমাদের সামনে এই একটি স্কেল রয়েছে এবং এখান থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত এটি হলো সময় এখন ধরুন আপনার অবস্থান এই স্কেলের মাঝ বরাবর এখন যদি আপনি এখান থেকে পেছনের দিকে যান।
আপনি পেছনের সময় তথা অতীতকে ভ্রমণ করলেন আর যদি আপনি এখান থেকে সামনের দিকে যান তাহলে আপনি আপনার সামনের সময় তথা ভবিষ্যতকে ভ্রমণ করবেন অর্থাৎ আপনার ইচ্ছার অনুযায়ী আপনি অতীতকে অথবা আপনার ভবিষ্যৎ কি প্রমাণ করতে পারছেন যদি আপনি এটা করতে পারেন তাদের এটাই হচ্ছে টাইম ট্রাভেল এই উদাহরণ থেকে আপনারা বুঝতে পারছেন আসলে.টাইম ট্রাভেল কি এখন প্রশ্ন হচ্ছে মানুষের পক্ষে টাইম টেবিল করা কি সম্ভব।
চলুন আগে দেখি এ ব্যাপারে বিজ্ঞানীরা কি বলেন প্রকৃত বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতা অনুযায়ী তাত্ত্বিকভাবে টাইম টেবিল বা সময় ভ্রমণ সম্ভব আপেক্ষিকতা অনুসারে কোন বস্তু যখন আলোর গতিতে চলবে তখন তা হয়ে যাবে হর্ষণ্ড আর যদি আলোর গতিতে চলে যায় তবে সময় হবে স্থির মানে টাইমটেবিল সম্ভব।
আইনস্টাইনের মতে এখানে বোঝা যাচ্ছে যে আপনার বুদ্ধি যদি আলোর গতি অথবা তার চেয়ে বেশি গতিসম্পন্ন হয় তাহলে আপনি টাইমটেবিল করতে পারবেন আর আলোর গতি হল প্রতি সেকেন্ডে 3 লক্ষ কিলোমিটার অর্থাৎ আলো প্রতি সেকেন্ডে তিন লক্ষ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে আপনাকে আলোর গতিতে ছুটে চলতে পারে এমন কোনো একটি মহাকাশযান এ উঠিয়ে দেয়া হলো এবং আপনি ভ্রমণে বেরিয়ে পড়লেন মহাজগতের এপার থেকে ওপারে কিন্তু পৃথিবীতে এসে দেখবেন. বছর সময় কেটে গেছে যেখানে আপনার কাছে মনে হবে মাত্র অল্প কিছু সময় এভাবেই আইনস্টাইনের থিওরি তে সময় ভ্রমণের ফর্মুলা লুকিয়ে আছে।
কিন্তু এখানে প্রশ্ন জাগে যে মানুষকে আলোর গতির সমান অথবা তার চেয়েও বেশি গতিতে চলতে পারবে আজ পর্যন্ত কোন মানুষের পক্ষেই তারেই ফিজিক্যাল বডি নিয়ে আলোর গতিতে অথবা তার চেয়ে বেশি গতিতে ভ্রমণ করার দৃষ্টান্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি টাইমটেবিল সম্পর্কে আল কোরআন কি বলে ইসলামের টাইম ট্রাভেলের অস্তিত্ব নিয়ে আমরা অনেকেই জানি না যার ফলে আমরা অনেকেই মনে করি আল-কোরআনে কিছুই করেনি আসলে এই ধরনের ঠিক নয়।
মহান আল্লাহ তা'আলা পবিত্র কোরআনের সূরা আল মাআরিজ এর চতুর্থ নম্বর আয়াতে বলেছেনচঞ্চল চৌধুরীর আইনজীবী অংশগ্রহণ করে. এমন একদিনে যার পরিমাণ তম দেশ হিসাবে 50000 বছর অর্থাৎ ফেরেশতারা মহান আল্লাহর দরবারে এমন একটি দিন উপস্থিত হয় বা হবে যে দিনের এক দিন সমান দুনিয়ার 50 হাজার বছরের সমান জি ঠিক শুনেছেন যে থিওরি পুরো পৃথিবীর বিজ্ঞানকে পরিবর্তন করে দিয়েছে সেই থিওরি কিন্তু সাড়ে চোদ্দশ বছর আগেই মহান আল্লাহতালা তার নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম কে জানিয়ে দিয়েছিলেন তাদের জগত আলোর।
সুতরাং বিজ্ঞানীদের টাইম জনের সাথে পুরোপুরি মিলে যাচ্ছে টাইম ডিভিশনের আরো চমকপ্রদ কিছু নিয়ম রয়েছে গতিশীল বস্তুর গতি আধিক্যের কারণে অনেক ক্ষেত্রে সময়ের পূর্বে কাজ হয়ে যায় সহজ ভাবে বললে মনে করুন একজন মানুষের চেয়ে বেশি কাজ করার দিকে বেশি গতিশীল মানুষ 10 ঘণ্টা করে মিশিয়ে সেটা এক ঘন্টা করে অর্থাৎ গতিশীলতার কাছে কাজের সময় কমে যায় এটাই বাস্তব. টাইম ট্রাভেল ঘুমানো অবস্থায় থাকি তখন আমাদের মহান আল্লাহতালার কাছে চলে যায় আর এই সময়ে আমরা অনেকেই বিভিন্ন স্বপ্ন দেখি আমরা স্বপ্ন দেখি অতীতের কোনো কৃতকাজ বা ভবিষ্যতে কিছু কিছু এসবই আল্লাহ প্রদত্ত কুদরতের অংশবিশেষ।
আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ভারতীয় ভবিষ্যতের বিভিন্ন ঘটনা দেখে সাহাবীদের কাছে দাবি পেশ করতেন এসব আমাদের কাছে অসম্ভব মনে হলেও আল্লাহতালার কাছে কোনো কিছুই অসম্ভব নয় যেমন আলাদা পবিত্র কুরআনে বলেছেন ঐ মিয়া ঐ মিয়া কুরআন হুকুম করুন যখন কোন কিছু করতে ইচ্ছা করেন তখন তাকে কেবল পারেন হও তখনই তা হয়ে যায় এ নিয়ে আমাদের মহানবী সাল্লাল্লাহু মিরাজের ঘটনা সম্পর্কে ধারনা থাকলে বিষয়টা আরো পরিষ্কার হয়ে যাবে।
নবী করীম সাল্লাল্লাহু সালামের আগমন সম্পর্কে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন সদিয়া দ্বীন-ই-ইলাহী ধর্মের ফামিলি দিলাম সুপারি দিলাম কপালে বিবাহ কিনা মুলামুলি নুরিয়া মুমিনুন আয়াত ইনামুল হক শোরুম পবিত্র ও মহিমা মহিমা তিনিই যিনি স্বীয় বান্দাকে রাত্রিবেলায় ভ্রমণ করেছিলেন মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যন্ত। যার চারদিকে আমি পর্যাপ্ত বরকত দান করেছি যাতে আমি তাকে কুদরতের কিছু নিদর্শন দেখিয়ে দেই নিশ্চয়ই তিনি পরম শ্রবণকারী ও দর্শনশীল মেরাজের ঘটনা মহান।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁর প্রিয় নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ইসলামকে এক রাতে পবিত্র মক্কা মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা বায়তুল মুকাদ্দাস পর্যন্ত এবং বায়তুল মুকাদ্দাস থেকে সপ্তম আসমানে অতিক্রম করে সিদরাতুল মুনতাহা পর্যন্ত ভ্রমণ করেছিলেন তা আমরা সকলেই জানি আমরা জানি যে মহাকাশ সীমাহীন তবে এই সীমাহীন মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর সুপারসনিক গতিসম্পন্ন পাহাড়ের উপরে চড়ে তিনি সিদরাতুলমুনতাহা গিয়েছিলেন।
আসমানকে অতিক্রম করে এখানে যে বাহনটি নবী করীম সাল্লাল্লাহু ইসলামের জন্য পাঠানো হয়েছিল তার নাম ছিল ব্রাক বনক শব্দটি এসেছে বরগুনা থেকে যার অর্থ হলো বিদ্যুৎ বিদ্যুৎ গতি সম্পন্ন বাহন হঠাৎ এই বাহিনীর ঘটেছিল বিদ্যুৎ তথা আলোর গতির চেয়েও অনেক অনেক গুণ বেশি তাই তিনি অতি স্বল্প সময়ে এই মহাকাশে অতিক্রম করে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের ডাকে সাড়া দিয়েছিলেন. অসাধারণ ভাবনাতীত গতির মধ্যেই আল্লাহতালার সব কুদরত লুকিয়ে রয়েছে আমরা জানি না দ্রুত চলে তা নির্ভর করে গতি ও মহাকর্ষের উপর গুচি কম হলে দ্রুত চলে।
আর গতি দ্রুত হলে টাইম দিলেই চলে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম আল্লাহ প্রদত্ত কুদরতে তারা অসাধারণ গতিতে যাওয়ায় টাইম পর্যন্ত ছিল যার কারণে তার কাছে যেটা অনেকদিন সেটা আমাদের কাছে এক রাত অর্থাৎ এই রকম গতিতে গেলে আমরা টাইম ট্রাভেল করতে পারব এভাবেই মেরাজের ঘটনা টাইম ট্রাভেলের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন হাদীসে এসেছে নবী করীম সাল্লাল্লাহু ইসলাম বিরোধীদের শুধু মহাকাশ ভ্রমনকারী ক্ষান্ত হননি।
তিনি সেখানে জান্নাত দেখেছেন জাহান্নাম দেখেছেন এবং জাহান্নাম একই অপরাধের কারণে মানুষের কি শাস্তি হচ্ছে তাও দেখেছেন এবং জানাতে তিনি হযরত বেলাল রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুর আওয়াজ শুনতে পেয়েছিলেন আল্লাহ তা'আলা বলেন. ভিডিও করার আহ্বান জানিয়ে তিনি কোন দৃষ্টি বিভ্রম হয়নি এবং সীমা লঙ্ঘন করে নিই নিশ্চয়ই সে তার পালনকর্তা মহান নিদর্শনাবলী অবলোকন করেছে।
অর্থাৎ মেরাজের রাত্রি তে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন নবী করীম সাল্লাল্লাহু ইসলামকে ঊর্ধ্ব আকাশে তার নিজস্ব নাগরিক দেখিয়েছিলেন যার ব্যাখ্যা নিম্নোক্ত হাদীসটি বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।
হাদীসে এসেছে নবী করীম সাল্লাল্লাহু ইসলাম এই সফরে মেরাজের রাতে একদল লোককে দেখলেন তাদের নক্র আমার নিজেদের লোক দিয়ে তার নিজের গাল ও বুকে আদর কাটছে জিজ্ঞাসা করলেন জিব্রাইল এরা কারা বললেন এ রকমই সমস্ত লোক যারা মানুষের গোশত খেতে এবং তাদের সম্ভ্রমে আঘাত হানত। এসব ঘটনা হলো ভবিষ্যতের ঘটনা যা মহানবী সাঃ নিজ চোখে দেখেছিলেন অর্থাৎ আমাদের নবী টাইম ট্রাভেল করেছিলেন। আর এই নিয়ামতটি আল্লাহ তায়ালা তার প্রিয় নবী ও রাসুল_ নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম কে দান করেছিলেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url