বাংলাদেশের সেরা ১০ টি ইসলামিক বক্তা
প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, আমাদের দেশে সারা বছরে দেশের বিভিন্ন স্থানে ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়. এবং এই ওয়াজ মাহফিল গুলো আমাদের দেশের মুসলমান ভাইদের জীবনের একটি অংশ. এই ওয়াজ মাহফিল গুলোতে সাধারণত বাংলাদেশের সেরা আলেমগণ বক্তব্য দিয়ে থাকে. আজকে আমরা সেসকল আলেমদের তালিকা গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
এছাড়াও এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা আরো জানতে পারবেন বাংলাদেশের সেরা ১০টি আলেম কোনগুলো এবং তারা কোন জেলা থেকে এসেছে এবং কোথা থেকে পড়াশোনা করেছে। তাহলে চলুন দেরি না করে দেখে নেয়া যাক বাংলাদেশের সেরা ১০টি ইসলামিক বক্তা কারা বা কে কে।
আলেম কাকে বলে
আলেম শব্দের অর্থ হলো জ্ঞানী। শরিয়তের পরিভাষায় যিনি দ্বীন ও শরিয়তের গভীর জ্ঞান রাখেন ও সেই জ্ঞান অনুযায়ী আমল করেন তাকে আলেম বলা হয়।
আলেম হওয়ার যোগ্যতা
শরিয়তের পরিভাষায় যিনি দ্বীন ও শরিয়তের গভীর জ্ঞান রাখেন ও সেই জ্ঞান অনুযায়ী আমল করেন তাকে আলেম বলা হয়। পাশাপাশি যিনি সুন্নতের অনুসরণ করে নিজের জীবন অতিবাহিত করেন এবং আল্লাহর ভয়ে সবসময় সন্ত্রস্ত থাকেন। দ্বীনি ইলম শিক্ষার জন্য একটি জরুরি শর্ত হলো, সনদ থাকা। অর্থাৎ কোনো আলেমের কাছ থেকে ইলম শিক্ষা অর্জন করা।
বাংলাদেশের সেরা ১০ টি ইসলামিক বক্তা
বাংলাদেশে অনেক ওলামা কেরামগণ রয়েছেন। এবং তাদের মূল উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশের সকল নাগরিক কে ইসলামের পথে নিয়ে আসা এবং আল্লাহর হেদায়েত এর দিকে ধাবিত করা। আমাদের দেশে অনেক আলেম রয়েছে তবে তার মধ্যে সেরা ১০ জনের তালিকায় এখানে দেয়া হলো।
১. আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী
আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী ছিলেন বাংলাদেশের অন্যতম একজন ইসলামী বক্তা. ওনার বক্তব্য শুনে অনেক মুসলমান আল্লাহর দ্বীনের পথে ফিরে এসেছে এবং ইসলামের জন্য লড়াই করেছে. আমাদের আল্লামা ছিলেন একজন ইসলামী পন্ডিত একজন রাজনীতিবিদ ও প্রাক্তন সংসদ সদস্য. তিনি তার জীবনকালে অনেকগুলো ইসলামিক বই লিখে বাঙালিকে ইসলামের রাস্তা দেখিয়েছেন. তবে দুঃখের বিষয় হলো আজ এই দিনে সেই মহান বক্তা আমাদের মাঝখানে আর নেই. আমরা সবাই তার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করব. আমিন.
২. মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী
হয়তো এই নামটি বাংলাদেশের প্রতিটি যুবকের মুখে মুখে রয়েছে. মিজানুর রহমান আজহারী বাঙালির যুবক সহ অন্যান্য দেশেও নিজের ইসলামিক বক্তব্যের মাধ্যমে অনেক মানুষকে দ্বীনদার বানিয়েছেন. মিজানুর রহমান আজহারীর জন্ম ঢাকা জেলার ডেমরা থানায়. অবশ্য তার পৈতৃক নিবাস কুমিল্লা জেলাতে. মিজানুর রহমান আজহারী মিশরের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করেন এবং আজহারী নামক উপাধিতে ভূষিত হন. বর্তমানে তিনি একজন পিএইচডি (PHD) ডিগ্রি প্রাপ্ত. দুঃখের বিষয় হলো এই বক্তা এখন আমাদের দেশে আর নেই তিনি অন্য দেশের নিজের ইসলামের দাওয়াত ছড়িয়ে যাচ্ছেন. আশা করি শীঘ্রই তিনি আমাদের দেশে এসে একটা বড় মাহফিলের আয়োজন করবেন.
৩. মাওলানা শায়খ আহমাদুল্লাহ
বর্তমানে বাংলাদেশ যে আলেম বা যেই ইসলামিক বক্তাটি সবথেকে জনপ্রিয় এবং ইসলাম ও হাদিস সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রদান করেন তিনি হলেন শায়খ আহমাদুল্লাহ। শায়খ আহমাদুল্লাহ 1981 সালের 15 ডিসেম্বর লক্ষ্মীপুরে বশিকপুর নামক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বর্তমান বয়স হলো ৪১ বছর।শায়খ আহমাদুল্লাহ মাহফিল গুলোর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো তিনি শ্রোতাদের থেকে প্রশ্ন নেন এবং সে সকল প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেয়ার চেষ্টা করেন। এর মাধ্যমে মুমিনগণ তাদের অনেক ইসলামিক ভুল ধারণা থেকে দূরে সরে যান।
৪. মুফতি আমির হামজা
মুফতি আমির হামজা এমন এক বক্তা যার বক্তব্য শুনলে দুঃখী মানুষও হাসতে থাকে। অর্থাৎ তিনি এমনভাবে ইসলামিক বক্তব্য দিয়ে থাকেন যেটা অনেকেই হাস্যোলোভাবে বা মজার সাথে বুঝতে পারবে। আমির হামজার বিশেষত্ব হল তিনি যে সকল হাদিস কোরআনের আয়াত সম্পর্কে আলোচনা করেন তিনি সেটির সঠিক নম্বর বা ঠিকানা দিয়ে দেয় যার কারণে তিনি বাংলাদেশের এবং ভারতের যুবকদের একটি জনপ্রিয় বক্তা। আমির হামজার জন্ম বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলাতে হয়েছিল। এবং তিনি কুষ্টিয়া ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিজের পড়াশোনা শেষ করেছেন। তার বর্তমান বয়স 28 বছর।
৫. আবু ত্বহা মুহাম্মদ আদনান
ইনি মূলত একজন আলেম নন. তবুও তার বক্তব্য শুনে অনেকে ইসলামের পথে ধাবিত হয়েছে. এবং অনেক মুসলমান ভাই-বোনেরা ইসলামী দ্বীনের পথে ফিরে এসেছে. আবু ত্বহা মুহাম্মদ আদনান মূলত রংপুরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং ওনার বর্তমান বয়স ৩২ বছর.
৬.মাওলানা হাফিজুর রহমান সিদ্দিকী
মাওলানা হাফিজুর রহমান সিদ্দিকী বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত ইসলামিক শিক্ষক এবং দারুল উলুম মাদরাসার প্রধান ছিলেন। তিনি বাংলাদেশের ইসলামিক শিক্ষার জগতে বিখ্যাত হন।হাফিজুর রহমান সিদ্দিকী একজন দারুল উলুম মাদরাসার প্রধান হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি এই পদে ২৭ বছর পর্যন্ত করেন। এছাড়া, তিনি আইন উলুম বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলাম অনুসন্ধান ও গবেষণা করেন।
তার শিক্ষাও প্রধানতঃ ইসলামিক বিষয়ে ছিল। তিনি বিভিন্ন ইসলামিক বিষয়ে লেখনী নিয়েছিলেন এবং তার শিক্ষাও পথে ইসলামিক জ্ঞান প্রসারে ব্যর্থ হনি। হাফিজুর রহমান সিদ্দিকী তার বিশেষ পঠিত প্রতিবাদ এবং প্রবন্ধ দ্বারা বাংলাদেশের ইসলামিক জগতে পরিচিত হন। তিনি আলোচনার প্রতিবাদক হিসেবেও পরিচিত। মাওলানা হাফিজুর রহমান সিদ্দিকী বাংলাদেশে ইসলামিক শিক্ষা ও সংস্কৃতির উন্নয়নে তার জীবন যাপন করেছিলেন।
৭. আল্লামা শাহ আহমদ শফী
আল্লামা শাহ আহমদ শফী (জন্ম: ১৫ জুন, ১৯২৩ - মৃত্যু: ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭) বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত ইসলামিক স্কলার এবং আলেম। তিনি বাংলাদেশের ইসলামিক ধর্মীয় আচার-আচরণের জন্য পরিচিত। তিনি তাফসীর সুরা, হাদিস, ইসলামি আকীদা এবং মজাহেব বিষয়ে তারমুলক প্রতিপাদন করেছেন।শাহ আহমদ শফী বয়স ৯ বছরে হয়তো কুরআন শিক্ষা শুরু করেন এবং ১৯ বছরে পর্যন্ত প্রথমতঃ আলেম হয়ে গেলেন। পরবর্তীতে ইসলামিয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন এবং পরবর্তীতে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন।
তিনি বিভিন্ন দেশে ইসলামিক কনফারেন্স এবং সম্মেলনে অংশ নেন। তার পুরানো শিক্ষার্থীরা বর্তমানে বাংলাদেশে এবং বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ইসলাম প্রচারে জোড়া বেঁধে চলেছে।আল্লামা শাহ আহমদ শফী তার বৃহত্তর জীবনে ইসলামিক শিক্ষা এবং তাফসীর সুরা বিষয়ে অবদান রেখেছেন এবং তার শিক্ষার্থীরা তার শিক্ষাও পথে অগ্রসর হচ্ছে।
৮. প্রিন্সিপাল মাওলানা হাবিবুর রহমান
প্রিন্সিপাল মাওলানা হাবিবুর রহমান বাংলাদেশের একজন পরিচিত ইসলামিক শিক্ষার্থী, ইসলামিক আলোচক এবং দারুল উলুম মাদরাসার প্রধান ছিলেন।তিনি জন্ম দিয়েছেন ১৯৫৪ সালে, ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার একটি গ্রামে। তার শিক্ষাও প্রথমতঃ স্থানীয় মাদরাসার মধ্যে শুরু হয়। তারপর ঢাকার জামিয়া উলুম মাদরাসায় তার শিক্ষা চালু হয়।মাওলানা হাবিবুর রহমান একজন দারুল উলুম দিয়ে তার প্রথম আলিম ডিগ্রি অর্জন করেন।
তিনি এরপর দারুল উলুম মাদরাসার প্রিন্সিপাল হিসেবে পরিচিত হন। তার শিক্ষাও প্রধানতঃ ইসলামিক বিষয়ে ছিল।মাওলানা হাবিবুর রহমান বাংলাদেশের ইসলামিক জগতে প্রসিদ্ধ একজন ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি তার জীবনে বিভিন্ন ইসলামিক বিষয়ে লেখা করেছিলেন এবং ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ইসলামিক শিক্ষার প্রসারে অংশ নেয়েছিলেন।তার জীবন ও কর্মকাণ্ড় ইসলামিক শিক্ষার প্রসারে অবদানের জন্য স্মরণীয়।
৯. আল্লামা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ
আল্লামা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত ইসলামিক বিদ্যালয়ের প্রধান এবং দারুল উলুম মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। তিনি ইসলামিক শিক্ষার প্রসারে তার অসীম প্রতিবাদ এবং আগ্রহের জন্য পরিচিত।মাসউদ শাহরিয়ার সন্তান হিসেবে জন্ম নেন এবং প্রাথমিক শিক্ষার পরে ঢাকার জামিয়া উলুম মাদরাসায় পড়াশোনা শুরু করেন। এরপর সৌদি আরবে গিয়ে আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করেন।
একটি সময় তিনি সাউদি আরবে তারমীম প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন এবং তারপর বাংলাদেশে ফিরে আসেন। পরবর্তীতে তিনি দারুল উলুম মাদরাসার প্রধান হিসেবে নিয়োজিত হন।মাসউদ শাহরিয়ার কার্যকালে দারুল উলুম মাদরাসার ইসলামিক পঠিত ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে একটি গরিব-জনসংখ্যার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত হয়।তিনি তার জীবনে ইসলামিক প্রচার-প্রসারে অবদান রেখেছেন এবং বাংলাদেশে ইসলামিক শিক্ষা প্রসারে তার যত্ন করেছেন।
১০. মুফতি আব্দুস সালাম চাটগামী
মুফতি আব্দুস সালাম চাটগামী বাংলাদেশের একজন পরিচিত ইসলামিক শিক্ষার্থী এবং ইসলামিক আলোচক ছিলেন। তিনি ইসলামিক জ্ঞান এবং দারুল উলুম মাদরাসার ক্ষেত্রে তার অবদান প্রস্তুত করেন।মুফতি আব্দুস সালাম চাটগামীর বিশেষ পঠিত অধ্যাপক হিসেবে পরিচিত। তিনি বিভিন্ন ইসলামিক বিষয়ে লেখনী নিয়েছিলেন এবং তার শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইসলামিক জ্ঞান প্রসারে সাহায্য করেছিলেন।
মুফতি আব্দুস সালাম চাটগামী তার জীবনে ইসলামিক শিক্ষা এবং তাফসীর সুরা বিষয়ে প্রচুর লেখা করেছিলেন। তার শিক্ষাও প্রধানতঃ ইসলামিক বিষয়ে ছিল।তিনি বাংলাদেশের ইসলামিক শিক্ষার জগতে পরিচিত এবং তার প্রশিক্ষিত শিক্ষার্থীরা তার শিক্ষাও পথে অগ্রসর হচ্ছে। মুফতি আব্দুস সালাম চাটগামী তার শিক্ষাও পথে ইসলামিক জ্ঞান প্রসারে ব্যর্থ হনি।
লেখক এর শেষ কথা
এখানে আমরা আমাদের মত অনুযায়ী সেরা 10 টি তালিকা বানিয়েছি হয়তো এখানে ভুল হতে পারে। যদি কোন ভুল হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে জানাবেন আমি সেটা শুধরে নেয়ার চেষ্টা করব। যদি আজকের এই পোস্ট টি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করে দিবেন।ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url